বর্তমানে যেসব স্মার্টফোন তৈরি করা তার বেশিরভাগই আধুনিক ফিচার যুক্ত। তবে যত আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হোক না কেনো ইন্টারনেট সমস্যায় ভুগে না এমন মানুষ খুজে পাওয়া যাবে না। কারনে অকারনে হঠাৎ করে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে বা স্লো হয়ে যায়। তবে ইন্টারনেট সমস্যা শুধু মোবাইল অপারেটর কোম্পানি বা তাদের নেটওয়ার্কের জন্য হয় না। মোবাইলে কিছু ফাংশনালিটি প্রব্লেমের কারনে ইন্টারনেট ব্রাউসিং ও ডাউনলোড স্পিড কম হতে পারে বা ডটা কানেকশন বন্ধ হতে পারে। আজ এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেটিং আলোচনা করবো।
![]() |
Source: pixabay |
স্পেস ক্লিক আপ
নিয়মিত ফোনের ম্যমোরি ও স্পেস ডাটা ক্লিয়ার করতে হবে। কোন থার্ড পার্টি অ্যাপ ছাড়াই ফোনের ডাটা ক্লিয়ার করা যায়। এক সময় ডাটা ক্লিয়ার করার জন্য অ্যাপের প্র্যোজন হতো। তবে এখন ফাইল ম্যানেজার বা মোবাইল স্টোরেজ সেটিং থেকে অপ্রয়োজনীয় ডাটা/ডুব্লিকেট ফাইল ক্লিয়ার করা যায়। নিয়মিত ডাটা ক্লিয়ার রাখলে ফোনের স্পিড বাড়বে ও ইন্টারনেট স্পিড বাড়বে
ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা বন্ধ রাখা
মোবাইল ইন্টারনেট চালু করার পর দেখা যায় ইন্টারনেটের সাথে সম্পর্কিত অ্যাপ থেকে প্রচুর নোটিফিকেশন আসে। এসব অ্যাপের ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা বন্ধ রাখতে হবে। একই সাথে যখন অনেক গুলু অ্যাপ ইন্টারনেট কনজিউম করে তখন ইন্টারনেট স্লো কাজ করে।
লোকেশন সার্ভিস বন্ধ রাখা
স্মার্টফোনে লোকেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফাংশন। প্রায় প্রত্যেক অ্যাপ ব্যবহারের পূর্বে প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যাপগুলু লোকেশন পারমিশন চায়। লোকেশন এক্সেস না দিলে অনেক অ্যাপ চলাউ করা যায় না। ইন্টারনেটর স্পিড বাড়াতে অ্যাপ Exit করার পর লোকেশন সার্ভিস বন্ধ রাখতে হবে। কারন লোকেশন চালু অবস্থায় ডাটা কনজিউম করে, যার ফল সরূপ মোবাইল ডাটা শেয়ারিং হয় ও স্পিড কমে যায়।
কেচ ডাটা ক্লিয়ার রাখা
কোন অ্যাপ দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে কেচ ডাটা জমা হয়। যে কারনে ঐ নির্দিষ্ট অ্যাপে কেচ ডাটা জমা হয়। যেসব অ্যাপে যত বেশি কেচ ডাটা জমা হবে সেসিব অ্যাপে ইন্টারনেট স্লো কাজ করবে। তাই নিয়মিত কেচ ডাটা ক্লিয়ার করতে হবে।
0 মন্তব্যসমূহ