Mobile Power Bank: পাওয়ার ব্যাংক মোবাইল এক্সেসোরিসের মধ্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং অনেক প্রয়োজনীয় গ্যাজেট। এক এক মোবাইল কোম্পানি ভিন্ন ভিন্ন কনফিগারেশনের স্মার্টফোন তৈরি করে। আমরাও মোবাইল কিনতে গেলে অনেকটা দ্বিধায় পরি। RAM, ROM, Processor, Battery। সব কিছু আমাদের চাহিদা মত হয় না। এই যেমন ব্যাটারির এম্পিয়ারের কথা ধরা যাক। ব্যাটারির ক্ষেত্রে আমাদের চাহিদা থাকে অনেক বেশি। কিন্তু চাহিদার কথা চিন্তা করলেতো হবে না। স্মার্টফোন কোম্পানির কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। তাই ব্যাটারির দিক থেকে নিজেকে সন্তুষ্ট রাখতে আমরা External Power source ব্যবহার করি। যাকে আমরা পাওয়ার ব্যাংক বলে ডাকি। আর আর পাওয়াফ ব্যাংক কেনার ক্ষেত্রে আমাদের কয়েকটা দিক মাথার রাখতে হবে।
আরও পড়ুনঃ মাত্র ৫০০ টাকায় স্মার্টওয়াচ কিনুন
আরও পড়ুনঃ মোবাইল দ্রুত চার্জ করার টিপস
১) এম্পিয়ার (Amp): আপনি কত এম্পিয়ারের পাওয়ার ব্যাংক ক্রয় করবেন সেটা নির্ভির করে আপনার চাহিদার উপর। আপনার মোবাইলের ব্যাটারি যদি খুব কম এম্পিয়ারের হয় সে ক্ষেত্রে আপনাকে একটু বেশি ব্যাকআপ দেয়ার জন্য বেশি এম্পিয়ারের পাওয়ার ব্যাংক কিনতে হবে। বাজারে আপনি ২৫০০০Amp থেকে ১০০০০ Amp এর পাওয়ার ব্যাংক পাবেন। তাই আপনার চাহিদা অনুযায়ী কিনতে পারেন।
২) সাইজঃ আমাদের অনেকের একটা ভুল ধারনা রয়েছে যে পাওয়ার ব্যাংক যত বড় হবে এম্পিয়ার তত বেশি, যত ছোটা এম্পিয়ার তত কম। কিন্তু এটা আমাদের অনেক বড় একটা ভুল ধারনা। কেনার সময় আপনার চাহিদা মত এম্পিয়ার দেখে নিবেন হোক সেটা বড় বা ছোট। তবে আমি আপনাকে পরামর্শ দিবো সাইজে একটু ছোট কেনা উচিৎ। তাহলে আপনি যেকোন যায়গায় সহজে এটা নিয়ে ট্রাভেল করতে পারবেন। এছাড়া পকেটে করেও সব জায়গায় নিয়ে যেতে পারবেন। তাই কেনার ক্ষেত্রে Compactness এর বিষয়টা অবশ্যই মাথায় রাখবেন।
৩) USB পোর্টঃ কোন পাওয়ার ব্যাংক এর সাথে চার্জার দেয়া হয় না। শুধু চার্জ ইনপুট এবং আউটপুট করার জন্য একটা ক্যাবল দেয়া হয়। আর চার্জিং ইনপুট ২ ধরনের হতে পারে USB type, USB type C। এখন আপনি কিনবেন আপনার মোবাইলের সাথে মিল রেখেন। সে ক্ষেত্রে আপনার মোবাইলের চার্জার ও ক্যাবল দিয়ে কাজ চালাতে পারবেন। এছাড়াও কেনার সময় দেখে নিবেন আউটপুট পোর্ট কয়টা আছে। যদি দুইটা থাকে তবে একই সাথে দুইটা মোবাইলদ চার্জ করতে পারবেন। এখন যে পাওয়ার ব্যাংক বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এর ইনপুটও ২টা থাকে। এতে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়।
৪) ব্রান্ডঃ আমি ইচ্ছে করলে সবার আগে ব্রান্ডের কথা বলতে পারতাম। ব্রান্ডের কথা বলার আগে আপনাদের একটু ধারনা দিয়ে নিলাম। এবার আপনি সিদ্ধান্ত নিবেন আপনি কেমন পাওয়ার ব্যাংক ক্রয় করবেন। আসলে পাওয়ার ব্যাংক কতটা ভাল হবে এটা অনেকটাই নির্ভর করে ব্রান্ডের উপর। আপনি বাজার থেকে সাধারন একটা 10k Amp এর পাওয়ার কিনলেন ৪০০-৫০০ টাকায়। সেটা থেকে কি পরিমান পাওয়ার ব্যাকআপ পাবেন এটা আর নাইবা বললাম। কিন্তু আপনি যদি বাজেট বাড়িয়ে ১০০০ থেকে ২০০০ টাকায় কিনিতে পারেন সে ক্ষেত্রে 10k Amp এর থেকে নিঃসন্দেহে 7k Amp ব্যাকআপ পাবেন।
৫) অন্যান্য সুবিধাঃ এছাড়াও কিছু কিছু পাওয়ার ব্যাংকে অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন টর্চ লাইট চার্জিং % Display, LED indicator, Remaining charging Time, power Switch।
এসব কিছু মাথায় রেখে আপনি যদি একটা পাওয়ার ব্যাংক ক্রয় করেন তাহলে অবশ্যই আপনার ক্রয় করা চার্জিং ব্যাংক আপনার চাহিদা পূরনে ১০০% ভাগ বা হলেও ৯০% ভাগ সম্ভব হবে।
0 মন্তব্যসমূহ