আপনার ভিডিওতে তখনই ভিউ বাড়বে, যখন ভিডিওর ইম্প্রেশন বাড়বে। ইম্রেশন হচ্ছে,আপনি একটি ভিডিও পাব্লিশ করার পর, ইউটিউব আপনার সেই থাম্বনেইল,ইউটিউব, কতজন দর্শকের সামনে দেখাচ্ছে, তার সংখ্যা। অর্থাৎ, কোন ভিডিওর ইম্প্রেশন যদি ৫০ হাযার দেখার, তাহলে বুঝতে হবে সেই ভিডিওটি, ৫০ হাজার দর্শকের সামনে দেখাচ্ছে। তাই ইম্প্রেশনের সাথে ভিডিওর ভিউর একটা অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে। ইউটিউব যখন আপনার ভিডিওর দর্শকদের দেখাচ্ছে, তখন সব দর্শকরা কিন্তু সেই ভিডিওতে ক্লিক করে না। আপনার ভিডিওর বিষয়ের উপরে বানিয়েছেন, সেই সম্পর্কিত ভিডিও দেখার জন্য যে দর্শকরা ইউটিউব ব্রাউজ করছে, শুধু মাত্র তারাই ক্লিক করবে। আর এখানে অনেক বড় একটা ফেক্টর হচ্ছে, যে টপিকের উপর আপনি ভিডিওটা পাব্লিশ করেছেন, আরও অনেক ইউটিউবার, সেই একই টপিকের উপর ভিডিও পাব্লিশ করেছে। যার ফলে আপনার CTR বা ইম্প্রেশন ক্লিক থ্রো রেট , স্বভাবতই সেই ভিডিও গুলির সাথে ভাগ হয়ে যায়। আর তাই আপনাকে ইম্প্রেশন, ইম্প্রেশন ক্লিক থ্রো রেট, এগুলু সম্পর্কে ভালভাবে ধারনা রাখতে হবে।
আর তাই, ভিডিওর ইম্প্রেশন কিভাবে বাড়ানো যায়, আপনাকে সব সময়, সেই চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আপনার যে ভিডিওতে ভিউস কম হয়, সেই ভিডিওগুলিকে কন্টিউনিউয়াসলি এনালাইস করতে হবে, আপনাকে সেই ভিডিওর ইম্প্রেশন এবং CTR সবসময় চেক করতে হবে।
চলুন দেখি, কিভাবে আপনি ভিডিওর ইম্প্রেশন বাড়াবেন।
আপনার ভিডিওর ইম্প্রেশন বাড়াতে হলে, ভিডিওর টাইটেল, ডেস্ক্রিপশন এবং ট্যাগ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে
আপনার প্রত্যেকটা ভিডিওর টাইটেল আকর্ষনীয় এবং ডেস্ক্রিপটিভ হতে হবে। এতে করে আপনার দুইটা লাভ হবে। প্রথমে যেটা হবে, ইউটিউব এলগোরদম আপনার ভিডিও সম্পর্কে ধারনা পাবে, এবং আপনার ভিডিওটিকে অন্যান্য প্রাসংগিক ভিডির সাথে লিষ্টেড করে নিবে। দ্বিতীয়ত, আপনার ভিডিওতে কি ধরনের তথ্য আছে, যেটা দর্শকদের কাছে তুলে ধরবে। আর সঠিক এবং আকর্ষনীয় টাইটেলের জন্য আপনাকে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য আপনি Google keyword planner ব্যবহার করতে পারেন।
আপনার ডেস্ক্রিপশনঅটি কোয়ালিটি সম্পন্ন হতে হবে, পাশাপশি, এমনভাবে ডেস্ক্রিপশন সাজাতে হবে, যাতে করে, আপনার ভিডিওতে কি আছে, সেটা, সার্চ ইঞ্জিন এবং দর্শরা বুঝতে পারে। আপনি ইউটিউবে কোন ভিডিও সার্চ করলে, সার্চ রেসাল্টে দেখানো, প্রত্যেকটি ভিডিওর টাইটেলের নিচে, ডেস্ক্রিপশনে যুক্ত করা দুই থেকে ৩ লাইন শো করে। আর আপনি চেষ্টা করবেন, এই ২-৩ লাইনে, আপনার ভিডিতে কি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, সেটা তুলে ধরতে। আর এটা যদি আপনি করতে পারেন, তাহলে আপনার ভিডিওর CTR স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে।
টাইটেল এবং ডেস্ক্রিপশনের পাসাপাশি, ভিডিওর ট্যাগ খুব গুরুত্বপূর্ন সেকশন। একটা ভিডিও পাব্লিশ করার সময়, ভিডিওর সাথে সামঞ্জন্স্বপূর্ন ট্যাগ যুক্ত করতে হয়। আপনার ট্যাগগুলু, ইউটিউব এলগোরদমকে ভিডিও সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা প্রদান করে। আর সেই ট্যাগের উপর ভিত্তি করে , সেসব দর্শকদের কাছে আপনার ভিডিও পৌঁছে দেয়, যারা, এই বিষয়ের উপর ভিডিও দেখতে চায়। আর তাই প্রোপার ট্যাগ ব্যবহার খুবই জরুরি। ট্যাগ রিসার্চের জন্য, Google keyword planner, Tubebuddy অথবা VidIQ ব্যবহার করতে পারেন।
একটা ভিডিওর CTR বাড়াতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে থাম্বনেইল। আপনার পাব্লিশ করা ভিডিও যখন, দর্শকদের ব্রাউজ ফিচারে, সাজেষ্টেট লিষ্টে দেখানো হয়, তখন, ভিডিওর থাম্বনেইল, সেই ভিডিওতে অর্গানিক ভিউস নিয়ে আসে। এর জন্য থাম্নেইল হতে হবে ইউসার রেসপস্নিভ হয়, অর্থাৎ, থাম্বনেইল দেখার পর যাতে, দর্শকরা ভিডিওতে ক্লিক করতে বাধ্য হয়। এছাড়াও, সোস্যাল মিডিয়াতে ভিডিও শেয়ার করার পর, দর্শকরা যাতে ভিডিওতে ক্লিক করে। আপনাকে হাই কোয়ালিটি থাম্নেইল ব্যবহার করতে হবে। এমনভাবে থাম্নেইল বানাতে হবে, যাতে, কালার, ফন্ট দর্শকদের কাছে খুব সহজে, ভিডিওর মেসেজ দিতে পারে।
এই চারটি জিনিস যদি আপনার ভিডিওতে খুব সুন্দরভাবে ইনক্লিউড করাতে পারেন, তাহলে ভিডিওর ইম্প্রেশন এবং CTR স্বাভাবিকভাবেই ইনক্রিস হবে।
আপনার চ্যানেলের জন্য শুভ কামনা রেখে শেষ করছি ।
ভিডিওঃ
0 মন্তব্যসমূহ