মনিটাইজেশনের
জন্য আবেদন করার পর যদি ইউটিউব থেকে আপনাকে এমন কোন মেসেজ দেয়া হয়।
তাহলে এই পুরু আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
আজকে আপনাদের স্পষ্ট ধারনা দেয়ার চেস্টা করবো, রিইউজ কন্টেন্টের পলিছি সম্পর্কে। আপনার
চ্যানেল যদি রিইউজ কন্টেন্টের কারনে মনিটাইজেশন রিজেক্ট হয়ে গিয়ে থাকে, অথবা আপনার চ্যানেল রিইউজ কন্টেন্ট থাকলে কিভাবে মনিটাইজেশনের জন্য এপ্লাই করবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে শেষ অংশে।
বন্ধুরা রিইউজ কন্টেন্ট নিয়ে আমাদের মনে অনেক দ্বিধা রয়েছে। রি ইউজ কন্টেন্ট ব্যবহার করলে আমাদের চ্যানেল মনিটাইজেশন হবে কিনা অথবা রি ইউজ কন্টেন্ট ব্যবহার করলে আমাদের মনিটাইজেশন বন্ধ হয়ে যাবে কিনা।
আপনি
যদি আপনার ভিডিওতে অন্যের কোন ভিডিও অথবা অডিও ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার চ্যানেলে কপিরাইট স্ট্রাইক বা ক্লেইম আসতে পারে।
তবে কপিরাইট ক্লেইম বা স্ট্রাইক আসলে চ্যানেল মনিটাইজেশন হতে পারে।
কিন্তু আপনি যদি অন্যের ভিডিও ব্যবহার করেন, সেটা হতে পারে স্ট্যান্ডার্ড লাইসেন্স ভিডিও অথবা ক্রিয়েটিভ কমন ভিডিও, এই অবস্থায় আপনি যখন চ্যানেল মনিটাইজড করা জন্য এপ্লাই করেন, তাহলে ইউটিউব দেখবে, যে, সেই ভিডিওতে আপনার কোন নিজস্ব ক্রিয়েটিভিটি আছে কি না।
কারন ইউটিউব কখনই রিইউজ কন্টেন্ট মনিটাইজড করে না।
আপনার নিজস্ব ক্রিয়েটিভিটি যদি সেই ভিডিওতে কোন প্রকার ভেলু এড না করে, তাহলে ইউটিউব কখনই সে ভিডিওকে মনিটাইজড করবে না।
তবে, যখন আপনি সেই ভিডিও নিয়ে নিজে ভিডিও তৈরি করেন, যেমন-আপনি কোন এক্সপ্লেইন ভিডিও তৈরি করেছেন এবং মাঝে মাঝে সেই ভিডিওর অংশ বিশেষ করেছেন, হতে পারে আপনি নিজে ফেস ক্যাম ব্যবহার করেছে অথবা হতে পারে, আপনি সেই ভিডিওতে ভয়েসওভার যোগ করে নতুন ক্রিয়েটিভ কিছু একটা তৈরি করেছে।
তাহলে আপনার সেই ভিডিও অবশ্যই মনিটাইজড হবে।
এবার আপনি প্রশ্ন করতে পারেন যদি সেই ভিডিওতে স্ট্রাইক বা ক্লেইম আসে, তাহলে মনিটাইজড হবে কি না।
উত্তর হচ্ছে, হ্যাঁ, হবে।
কারন স্ট্রাইক এবং ক্লেইম এবং এডসেন্স এই দুইটা জিনিস>
আলাদা।
এবার,
যদি আপনার চ্যানেলে ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম এবং ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার পূর্ন হয়ে যায় এবং আপনি মনিটাইজেশনের জন্য এপ্লাই করতে যাবেন, কিন্তু বেশ কয়েকটি ভিডিওতে ক্লেইম রয়েছে।
তাহলে মনিটাইজেশন এপ্রুভ হবে কি না।
যদি
আপনার প্রত্যেক ভিডিও একটা নিজস্ব ভেলু এড করে এবং দর্শকরা আপনার ভিডিও থেকে নতুন কিছু শিখতে পারবে বলে ইউটিউব মনে করে, তাহলে আপনার চ্যানেল মনিটাইজড হবে।
এবার
আসুন দেখি রিইউজ কন্টেন্টের কারনে কিভাবে মনিটাইজড চ্যানেল, ডিমনিটাইজড হয়ে যায় বা মনিটাইজেশন বন্ধ হয়ে যায়।
মনিটাইজেশন
এপ্রুভ করার আগে পর্যন্ত আপনার সকল ভিইউজ ভিডিও নিজস্ব একটা ভেলু এড করেছিলো।
যার ফলে আপনি চ্যানেলে মনিটাইজেশন পেয়েছে।
কিন্তু মনিটাইজেশন পাওয়ার পর আপনি নতুন করে ব্যবহৃত রিইউজ ভিডিওতে কোন প্রকার ভেলু এড করন নি।
অর্থাৎ, আপনি রিইউজ ভিডিও রি আপলোড করছেন এবং চ্যানেল থেকে ইনকাম করে যাচ্ছেন।
ইউটিউব যখনি আপনার এই চালাকি ধরে ফেলবে, সাথে সাথে চ্যানেলের মনিটাইজেশন বন্ধ করে দিবে।
আপনার
চ্যানেল
যদি
রিইউজ
কন্টেন্টের
জন্য
মনিটাইজেশন
রিজেক্ট
করে
দেয়
তাহলে
কিভাবে
এপ্রুভ
করাবেন?
যদি
চ্যানেলের মনিটাইসজেশন রিজেক্ট করে দেয় তাহলে আপনার চ্যানেল থেকে সি কন্টেন্ট গুলু সরিয়ে দিতে হবে।
তা না হলে আবার যদি রি এপ্লাই করেন, ইউটিউব আপনার ভিডিও খুব ভালভাবে যাচাই করবে।
মনে রাখবেন, প্রথম বার রিজেক্ট হওয়ার পর, রিএপ্লাই করলে প্রত্যেকটা ভিডিও আগের তুলনায় আরো শুক্ষভাবে চেক করা হবে।
কারন ইউটিউব নিশ্চিত হবে, আপনি আর কোন রিইউজ কন্টেন্ট ব্যবহার করেননি।
যদি সে ভিডিও সহ আবার মনিটাইজেশোনের জন এপ্লাই করেন, তাহলে আবার রিজেক্ট হয়ে যাবে।
ভিডিওঃ
আজকের সামারিঃ
১)
আপনি অন্যের ভিডিও রিইউজ করতে পারবেন, সেটা হতে পারে স্ট্যান্ডার্ড লাইসেন্স অথবা ক্রিয়েটিভ কমন।
২)
কিন্তু রিইউজ কন্টেন্ট রি আপলোড করতে পারবেন না, কারন ইউটিউব কখনই রিইউজ ভিডিওতে মনিটিজেশন দেয় না।
৩)
রিইউজ কন্টেন্টে মনিটাইজেশোন পেতে হলে ভিডিওতে আপনার ক্রিয়েটিভিটি দেখিয়ে সেই ভিডিওতে আলাদা ভেলু এড করতে হবে, হতে সেটা ভয়েসওভার, এক্সপ্লেইন বা ওয়েবক্যামের মাধ্যমে।
0 মন্তব্যসমূহ